এজেন্সির জন্য ন্যূনতম হজযাত্রী কোটা এক হাজার

প্রকাশিতঃ 4:53 pm | January 07, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা এক হাজার জন নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি এক চিঠিতে বাংলাদেশকে এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়। এই কোটা কমানোর চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত এক হাজারই বহাল রয়েছে।

সূত্র জানায়, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা প্রথমে ২৫০ জন ও পরে ৫০০ জন করার বিষয়ে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে দুটি আধা-সরকারি পত্র দেন। কিন্তু সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কমিটির কাছ থেকে হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়ে সম্মতি মেলেনি।

এ পরিস্থিতিতে গত ৪ জানুয়ারি (শনিবার) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম অডিটোরিয়ামে হজ পরিচালনাকারী এজেন্সি মালিক ও পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ সভায় হজ এজেন্সি মালিকদের পক্ষ থেকে হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

বিষয়টি অবহিত করতে সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর যমুনা কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ধর্ম উপদেষ্টা। সাক্ষাৎকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হজ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

২০২৫ সালে হজে যাওয়ার জন্য সরকার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। সাশ্রয়ী প্যাকেজ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা, আর অন্য প্যাকেজের খরচ পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এই প্যাকেজে বিমান ভাড়া কমিয়ে ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে, তবে খাবারের খরচ (৪০ হাজার টাকা) এবং কোরবানির জন্য ৭৫০ সৌদি রিয়াল আলাদাভাবে নেওয়া হবে। গত বছর এসব খরচ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে চলতি বছর হজে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। চার দফা সময় বাড়ানোর পরও নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ হজযাত্রী।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধন শেষে এখনো কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩টি। এ বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। এর মধ্যে সরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ২৬০ জন। বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সবমিলিয়ে মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফেরত যাবে।

কালের আলো/এএএন/কেএ