রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দ্রুত প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
প্রকাশিতঃ 8:27 pm | January 07, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার মামলার দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে সব থেকে বেশি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি।
আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই।
আমি একটা রিপোর্ট চাই যে, কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তে দুই থেকে তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।
তিনি আরও বলেন, সিআইডিতে আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না তবে একেক জন একেক ভাবে আহত হয়েছেন। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে থেকে কিছু সংখ্যক আমরা পুলিশ বাহিনীতে নেবো। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। আমরা আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি পরবর্তীতে আমরা এ সংখ্যাটা আরও বাড়াবো। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব ডিপার্টমেন্টে এটা করে দেব।
তিনি বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম যে, বিভিন্ন বাহিনী থেকে যারা অবসরে গেছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করতে। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিং এর বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়ালেখা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদের আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়ালেখাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।
কালের আলো/এএএন/কেএ