পটুয়াখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে প্রস্তুত
প্রকাশিতঃ 9:42 am | January 09, 2025
পটুয়াখালী প্রতিনিধি, কালের আলো:
সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রস্তুত পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সেপ্টেম্বরে এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রাথমিকভাবে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসছে।
এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হওয়ায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি মাইলফলক হবে বলে মনে করছেন এই প্রকল্পের কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল) যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে।
জেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৯১৫ একর জমির ওপর ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। করোনাসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে টারবাইন, চুল্লি, কোল স্টোর, স্টিল স্ট্রাকচার, বয়লার, ওয়াটার ফিড ও জেনারেটর বসানোর কাজ। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন ও রঙের কাজ শেষ। চার হাজার বাঙালি ও দেড় হাজার চাইনিজ শ্রমিক এ নির্মাণ কাজ করছেন।
ইতোমধ্যে বয়লারে ফায়ারিংও করা হয়েছে। মোট কথা বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত এ পাওয়ার প্লান্ট। এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন, ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (তড়িৎ) আসিফ আহমেদ জানান, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন, ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করেছি।
অপর নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিটের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা বয়লারে ফায়ারিংও করেছি। মোটকথা আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শওকত ওসমান বলেন, উৎপাদন চালু রাখার জন্য এক লাখ ২৫ হাজার টন কয়লা মজুত করা হয়েছে। এ মাসে আরও আসবে এক লাখ ৬৫ হাজার টন। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৯ টাকা।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের টিপিসি (কর্মাশিয়াল) ম্যানেজার মি. ইয়াং বলেন, কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে পরিবেশের ওপর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিকর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান চীনের এই প্রকৌশলী।
বর্তমানে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা পাঁচ হাজার ৯৯২ মেগাওয়াট। পটুয়াখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে দাঁড়াবে সাত হাজার ৩১২ মেগাওয়াট।
কালের আলো/এমডিএইচ