চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ
প্রকাশিতঃ 11:28 am | January 09, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের ভূখণ্ডকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ করেছে তেল আবিব। নতুন এ মানচিত্রে ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের ভূখণ্ডকে বৃহত্তর ওই ইসরায়েলের বলে দাবি করা হয়েছে। ইসরায়েলের এমন কাণ্ডে ফিলিস্তিন ও জর্ডানের পাশাপাশি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরবও।
ইসরায়েলের বিতর্কিত মানচিত্রটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশিত বৃহত্তর ইসরায়েলের এ মানচিত্র ঘিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনরাও।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু-রুদেইনে মানচিত্রটিকে সব আন্তর্জাতিক আইন ও প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের দখলদারির নীতি, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং আল-আকসা মসজিদের বিরামহীন অবমাননা বন্ধ করতে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত
‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ এ মানচিত্রকে ‘উস্কানিমূলক ও ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, বর্ণবাদের ভিত্তিতে নেওয়া ইসরায়েলি পদক্ষেপ যেমন জর্ডানের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারবে না, তেমনি তা ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারবে না।
ইসরায়েল সরকারকে অবিলম্বে এ ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ ও বেপরোয়া বিবৃতি বন্ধ করতে বলেছে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে সতর্ক করেছে দেশটি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলি এ মানচিত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরবও। রিয়াদ বলেছে, এই ধরনের চরমপন্থি দাবি ইসরায়েলের উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, যা তাদের দখলদারিকে সুসংহত করতে, রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বের ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ চালিয়ে যেতে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করতে চায়।
মধ্যপ্রাচ্য এবং এর জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি নিজেদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং তাদের সীমানার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে দেশটি।
কালের আলো/এসএকে