শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দাবি, ফ্যাক্টচেকে যা জানা গেল

প্রকাশিতঃ 3:57 pm | January 09, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় দেশে ফেরার কথা বলেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনকলে এসব বার্তা ছড়ান তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে নতুন করে এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।

তবে ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতের কোনো গণমাধ্যমকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি দেশে আসবেন বলে সাক্ষাৎকার দেননি বরং, ভিন্ন ঘটনার একাধিক পুরোনো ফুটেজ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি সেটা করতে পারেননি। শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন বলে দাবি করা হয়।

ভিডিওতে উপস্থাপক দাবি করে বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন— সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নিব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই। মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’ তবে, টিকটকের এই ভিডিও ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।

এছাড়াও উপস্থাপক শেখ হাসিনা সেই ভিডিও বার্তায় বলেছেন দাবি করে বলেন, ‘সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নিব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই। মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন অনুসারে, টিকটকের এই ভিডিওর ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।

মূলত ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর ‘ANI News’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি “India is trusted friend…” Bangladesh PM Sheikh Hasina lauds India’s role during 1971 Liberation War শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি প্রতিবেদনে থাকা শেখ হাসিনার ফুটেজের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফুজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

কালের আলো/এএএন/কেএ