বাগেরহাট প্রতিনিধি, কালের আলো:

মোংলা বন্দরে চলতি বছরের শুরু থেকে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দর জেটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে কন্টেইনারবাহী তিনটি জাহাজ নোঙর করেছে।

রাশিয়া থেকে আসা জাহাজ তিনটিতে ৩৯৭ টিইইউজ পণ্য রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একই সময়ে বন্দরের বিভিন্ন ইউটার এ্যংকরেজ পয়েন্টে মোট ১৮ জাহাজ অবস্থান করছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, মোংলা বন্দরে চলতি বছরের শুরু থেকে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথম দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১০ দিনে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১০ দিনে মোংলা বন্দরে পণ্য-বোঝাই ২৮ জাহাজ নোঙর করেছে। শুক্রবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে দু’টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙর করেছে। এর মধ্যে বারমুডার পতাকাবাহী ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এম ভি পাকান্ডা অ্যান্টিগুয়া জাহাজটি ৭.৫০ মিটার গভীরতা বোঝাই ১৯০ টিইইউজ কন্টেইনার পণ্য নিয়ে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে। একই সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে পানামার পতাকাবাহী মার্কস ঢাকা নামের জাহাজটি ২০৭ টিইইউজ কন্টেইনার পণ্য নিয়ে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে। বিকেলে রাশিয়ান পতাকাবাহী এম ভি মেলিনা জাহাজটি বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে। এই তিনটি জাহাজ ছাড়াও এখন বন্দরের বিভিন্ন ইউটার এ্যংকরেজ পয়েন্টে মোট ১৮ জাহাজ অবস্থান করছে। পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত এই ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজে আমদানিকৃত কয়লা, সার (জিপসাম, ড্যাপ ফার্টিলাইজার, টিএসপি, এম ও পি), ক্লিংকার, এলপিজি, বিভিন্ন পণ্যের কন্টেইনার ও পাথর রয়েছে।

মোংলা বন্দরের এই কর্মকর্তা আরও জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজে ১০ হাজার ৩৮৬ টিইইউজ কন্টেইনার এসেছে। এছাড়া গাড়ি বহনকারী ১০টি জাহাজের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এ সময়ে বন্দর দিয়ে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ মে. টন আমদানি-রফতানি পণ্যের মাধ্যমে মোংলা বন্দর ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩ শতাংশ, কার্গোতে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনারে ১৬ দশমিক ৭৮শতাংশ ও গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

কালের আলো/এএএন/কেএ