সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিতঃ 4:45 pm | January 14, 2025
সিরাজগঞ্জ প্রতিবেদক, কালের আলো:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অস্ত্র মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুপ্রিয়া রহমান আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এ পি পি) মো. হাদীউজ্জামান সেখ (হাদী) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-অ ধারায় দায়েরী মামলায় তাদেরকে এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের মৃত ওসমান ফকির সোনাউল্লাহর ছেলে মো. এরশাদ আলী, পাবনা জেলার অরেঙ্গাবাজ গ্রামের মৃত আকবর শেখের ছেলে মো. নজরুল, সুজানগর থানার নয়নামতি গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন নেছার উদ্দিনের ছেলে মো. আবুল হাসেম ও পাবনা জেলার জয়গ্রামমের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. হাসান আলী প্রামাণিক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে শাহজাদপুরস্থ সাজেদা ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের কিস্তির টাকা উত্তোলন করার উদ্দেশে বের হন। বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে কিস্তির ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাড়াবিল গ্রামের বড় ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে রাস্তার উপর অটোভ্যান রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আসামিরা ৩টি মোটরসাইকেলে এসে ফিল্ড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামকে ঘিরে ধরে আসামিরা তাদের হাতে থাকা পিস্তল তার মাথায় ঠেকিয়ে ও আরেকজন শাটারগান বুকে ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং অন্যান্য আসামিরা তাকে কিলঘুষি মেরে তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে প্যান্টের পকেটে থাকা কিস্তির নগদ ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় ফিল্ড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আসামিদেরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক কে এম রাকিবুল হুদা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদেরকে হেফাজতে নেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-অ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১০ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য সমাপ্তি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
কালের আলো/এসএকে