বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

প্রকাশিতঃ 11:43 am | January 16, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কারামুক্তি দেওয়া হতে পারে। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুপুরের দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কারা সূত্র জানায়, আদালত থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাসের নথি এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুরের দিকে তাকে কারামুক্তি দেওয়া হবে।

প্রায় ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

এদিকে বাবরের মুক্তির খবরে এলাকা থেকে দলে দলে লোকজন ঢাকায় এসেছেন। নেতার মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে অবস্থান করেছেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা। কারামুক্তির পর কারা ফটক থেকে তাকে বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

কারাগারের সামনে এক নেতা বলেন, আমাদের নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর নিরপরাধ। তার জনপ্রিয়তায় হিংসা থেকে শেখ হাসিনা তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।

আরেকজন বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মাটি ও মানুষের নেতা। তাকে বিনা দোষে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। আজ তার মুক্তিতে আমরা আনন্দিত।

২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।

বাবরের রাজনৈতিক জীবন

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

কালের আলো/এসএকে