নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়ণের উদ্যোগ ডিএনসিসির
প্রকাশিতঃ 11:48 am | January 16, 2025
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
কর্মকর্তা, কর্মচারীদের স্বার্থে নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এটির সুপারিশের জন্য ইতোমধ্যে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটি অনুমোদন দিয়ে নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, গঠিত টিম বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত পর্যালোচনার মাধ্যমে একীভূত করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে একটি নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়ন করবেন। এটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশমালা উপস্থাপন করতে হবে কমিটিকে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলীকে এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে ডিএনসিসির এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, ডিএনসিসির ড্রেনেজ সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, অঞ্চল-৩, ডিএনসিসির প্রোগ্রামার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
কমিটি গঠনের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর রোডে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগের পুরোনো কার্যালয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ব্যাডমিন্টন মাঠে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন।
মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলা চলাকালীন রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে হেলমেট পরিহিত একজন দুর্বৃত্ত মকবুল হোসাইনকে ডেকে নিয়ে কার্যালয়ের বাইরে রাস্তায় নিয়ে যান। অতঃপর তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতসহ এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে দ্রুত মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যান। তার চিৎকার শুনে অন্যান্য সহকর্মীরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাকে কাছের ইউনাইটেড হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার বুকে, ডান হাতের কব্জিতে এবং বাহুতে ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করার চিহ্ন স্পষ্ট, যা গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএনসিসির নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়ন করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
কালের আলো/এএএন/কেএ