বাংলাদেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিতঃ 10:53 pm | January 16, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেত্তি। তার মতে, গণতন্ত্র ও নির্বাচন বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় খুলতে সহায়ক হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এরিক গারসেত্তি বলেন, “আমরা উভয়ই যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। এবং এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় খুলতে সহায়তা করবে।”

এরমাধ্যমে দিল্লিস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয়ই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এ দুই দেশ এ মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে।”

এছাড়া সাক্ষাৎকারী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে এই কূটনীতিক বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশ— ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনো নির্যাতনের শিকার না হয়।”

সংবাদমাধ্যমটিকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই মার্কিন দূত। সেখানে সবশেষে তাকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বাংলাদেশ কতটা ইস্যু ছিল? আমরা দেখেছি হাসিনা চলে গেছেন, যা ভারতের জন্য একটি ধাক্কা ছিল। আমরা এখন জামায়াতের উত্থান এবং চীনের কর্মযজ্ঞ দেখছি। এ ব্যাপারে আপনার মত কী? এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন এরিক গারসেত্তি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এ্ই সরকার সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে টানা চারবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। কিন্তু দেশের শেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত। সাধারণ ভোটাররা এই নির্বাচনগুলোয় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি। বিরোধী দল বিহীন এ নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করে পুনরায় সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ওই বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে হয় তাকে। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি।

কালের আলো/এমডিএইচ