আ.লীগের রেখে যাওয়া কঙ্কালে গোস্ত ও চামড়া পরাতে চাই: ডা. শফিকুর

প্রকাশিতঃ 7:08 pm | January 17, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগ আমাদের জন্য দেশে যে কঙ্কাল রেখে গেছে সেই কঙ্কালে আমরা গোস্ত ও চামড়া পরাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘ওরা আমাদের জন্য দেশে যে কঙ্কাল রেখে গেছে সেই কঙ্কালে আমরা গোস্ত ও চামড়া পরাতে চাই। স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিকে মুগুর বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। উন্নয়নকে লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করলেন। দেশে নয় বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তুললেন। এ ভোটের অধিকারটার জন্য তো লড়াই করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল। পাকিস্তানিরা এ ভোটের মূল্য দেয়নি বলেই তো মানুষ জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল, এটাই তো আপনারা শেষ করে দিলেন। আমাদের দেশ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বলবো আপনাদের মেয়াদ যেহেতু দীর্ঘ নয়, সব আপনারা পারবেন না। আগামী একনেকে ইনসাফের কারণে কমপক্ষে এখানে একটি প্রতিষ্ঠান দেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি মেডিকেল কলেজ দেন। ভোট নেওয়ার সময় বাবা ডাকে, ভোট নেওয়ার পর শালা ডাকতেও লজ্জা করে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মো. মোবারক হোসাইন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা আমির মাও. তাজ উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাও. অধ্যাপক আবুল হাসেম, ঝিনাইদহ জেলা আমির আবু বকর মুহা. আলী আজম ও যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়তে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা নায়েবী আমির আজিজুর রহমান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, চুয়াডাঙ্গা জামায়াত ইসলামীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ। কর্মী সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

কালের আলো/এএএন/কেএ