দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর সম্পর্ক চায় ভারত: রণধীর
প্রকাশিতঃ 8:40 pm | January 17, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এমন সম্পর্ক চায় যা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ ও দুদেশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব ও বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আমাদের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়ে এসেছেন, আমরা ইতিবাচক সম্পর্ক চাই। আমরা ইতিবাচক দিকে এগোতে চাই। আমরা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এমন সম্পর্ক চাই যা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। এটি হলো আমরা ইতিবাচক অবস্থান এবং আমাদের এ চাওয়া অব্যাহত আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে সীমান্ত বেড়া নিয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যা বলেছি তা আবারও বলছি, আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম, পাচার, কাঁটাতারের বেড়া, লাইট ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশুর বেড়া নির্মাণ করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত চাই আমরা। এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। কিছুদিন যাবত আলোচনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিনোদপুর, নওগাঁর ধামইরহাট, লালমনিরহাটের দহগ্রাম ও মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তের কোদলা নদী এলাকা। এরপর গত ১২ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় ঢাকা। ঠিক পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নূরুল ইসলামকে ডেকে পাঠায় ভারত।
এরপর গত ১৪ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিএসএফ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখায় উত্তেজনাও বন্ধ রয়েছে। ভারতের দাবি, তারা চুক্তি অনুযায়ী বেড়া তৈরি করছে। তবে ঢাকা জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
কালের আলো/এসএকে