ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশমে খেতে পারেন যেসব খাবার
প্রকাশিতঃ 1:20 pm | January 18, 2025
লাইফস্টাইল ডেস্ক, কালের আলো:
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা, সর্দি-কাশি ও ফ্লুজনিত সমস্যায় ভোগা খুবই সাধারণ বিষয়। শীতকালে ঘরে ঘরে এসব সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডাজনিত এসব সমস্যার কারণে গরম পানির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। তবে গরম পানির সঙ্গে কিছু খাবার যুক্ত করলে পুষ্টি উপাদান যেমন বাড়ে, তেমনি এগুলো ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করে। চলুন, এমন কিছু খাবারের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
গরম স্যুপ
জ্বর বা সর্দি-কাশির সময় গরম স্যুপ অত্যন্ত আরামদায়ক। ঠান্ডা লাগলে মুখের স্বাদ কমে যায়, তখন গোলমরিচসহ সবজি বা চিকেন স্যুপ খেলে স্বাদও ফেরে, আরামও পাওয়া যায়। গরম স্যুপ শ্বাসনালীতে জমে থাকা মিউকাস দূর করতেও সহায়তা করে। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি হতে পারে পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার।
কালিজিরা ও রসুনভর্তা
কালিজিরা ও রসুন অল্প আঁচে টেলে বেটে সরিষার তেল ও লবণ মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে বন্ধ নাক খুলে যায়। রসুন ও কালিজিরায় থাকা উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ও সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে।
ডাবের পানি
জ্বর ও কাশির সময় শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই বেশি করে পানি পান করা জরুরি। এর পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ডাবের পানি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
মসলা চা
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা, তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি মসলা চা দারুণ কার্যকর। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে গলার ব্যথা ও অস্বস্তি কমে যায়। আদা ও মধুর অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পুদিনা চা
পুদিনাপাতা দিয়ে তৈরি পেপারমিন্ট চা ঠান্ডা ও সাইনাসের উপসর্গ উপশমে সহায়ক। পুদিনার ঔষধি গুণ শ্বাসনালী প্রশান্ত করে ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। গরম পুদিনা চা ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয় ও সারাদিন সতেজ রাখে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
শীতকালে বা শীতের শেষেও বাজারে যেসব ফল পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন অনুজীবের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতেও সাহায্য করে। এ সময় কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, টক জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
এসব ঘরোয়া ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলে ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশম হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে।
কালের আলো/এসএক