সুগন্ধা নদী থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিতঃ 7:53 pm | January 20, 2025
ঝালকাঠি প্রতিবেদক, কালের আলো:
বরিশালের দপদপিয়া সেতু দিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়া নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সুগন্ধা নদী থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে ওই নবজাতককে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্কুলশিক্ষক মা ঐশী আক্তারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে ৫ দিনের এক নবজাতককে বরিশালের দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেন স্কুল শিক্ষিকা মা ঐশী আক্তার। এরপর থেকে নবজাতকের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। ঐশী ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঐশী আক্তার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের মেয়ে। গত ১০ জানুয়ারি অস্ত্রোপচার ছাড়াই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঐশী। এরপর তাকে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় তার বোনের বাসায় নিয়ে রাখা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহ ওই শিক্ষিকার সন্তানের কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ দিকে নিখোঁজ নবজাতকের বাবা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহের পোশাক দেখে তার নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি পোশাক দেখে নিশ্চিত হয়েছি উদ্ধার হওয়া নবজাতকের মরদেহটি আমার মেয়ের। ঘটনার পর বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ঐশী। আমি এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালী থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই মরদেহ উদ্ধার করেন। নবজাতকের বয়স আনুমানিক ৫ থেকে ৭ দিন হবে।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালের আলো/এসএকে