উন্নতির সোপানে সাঁজোয়া কোর, নবম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত মেজর জেনারেল হাবীব উল্লাহ
প্রকাশিতঃ 10:14 pm | January 21, 2025
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
সাঁজোয়া কোরকে বলা হয় ‘সমর সম্রাট’। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ক্রমশ উন্নতির সোপানে আরোহণ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই জ্যেষ্ঠতম কোরটি। ‘প্রাণ দেব মান নয়’, এই মূলমন্ত্র ধারণ করে সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে প্রস্তুত। চৌকস প্যারেডের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই এই কোরটি পেয়েছে নবম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’। যেখানে নতুন ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো.হাবীব উল্লাহ।
গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) বগুড়া সেনানিবাসস্থ শহীদ লেফটেন্যান্ট বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে সাঁজোয়া কোরের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার এদিন মেজর জেনারেল হাবীব উল্লাহকে ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন। এর আগে এই কোরটির অষ্টম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জানা যায়, নবম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর সাঁজোয়া কোরের সকল ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল মেজর জেনারেল মো. হাবীব উল্লাহকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। এর মাধ্যমে সাঁজোয়া কোরের ইতিহাসে সূচিত হয়েছে নতুন এক অধ্যায়ের। সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে মেজর জেনারেল হাবীব উল্লাহ ও সাঁজোয়া কোরের মধ্যকার সম্পর্ক। উচ্ছ্বাস-আনন্দের অবগাহনে বিশেষ এই দিনটিতে সাঁজোয়া কোরের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান ও আধুনিকায়নে সমৃদ্ধ করতে নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কল্যাণ সংস্থার এই চেয়ারম্যান।
মেজর জেনারেল হাবীব উল্লাহ ওইদিন প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সঙ্গে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের। যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে চির আরাধ্য স্বাধীনতা। তিনি আরও স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ৪ জন খেতাব প্রাপ্তসহ ৫৯ জন শহীদ সাঁজোয়া সদস্যদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতির বীর সন্তানদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা ও একটি পরিচিতি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাঁজোয়া কোরে ইতোমধ্যে আধুনিক ট্যাংক ও বিভিন্ন উপকরণ সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও সাজোয়া কোরের পুরাতন ট্যাংকগুলোকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আপগ্রেডেশন ও মর্ডানাইজেশনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হলে আমাদেরকেও শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে, বুদ্ধিবৃত্তি ও কৌশলগতভাবে সকল বিষয়ে সার্বক্ষণিক সচেনতা এবং পেশাগত উৎকর্ষের জন্য সচেষ্ট থাকার বিকল্প নেই।’ পদাতিক নতুন সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন কোর্স ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আজ এর ব্যাপ্তি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যেও বিস্তৃত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নতুন এই ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’।
কালের আলো/এমএএএমকে