খোঁজ মিলেছে রুবিনাকে হেনস্তা করা সেই গাড়ি মালিকের
প্রকাশিতঃ 11:28 am | January 24, 2025
বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:
গেল মঙ্গলবার উবারে চড়ে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা। উবারে চড়ে বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার পথে হাতিরঝিলে অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন নিঝুম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানান অভিনেত্রী। অবশেষে খোঁজ মিলেছে সেই গাড়ি মালিকের। জানা গেছে, তিনিও একজন নায়িকা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন রুবিনা।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে নায়িকা বলেন, গাড়ির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। গাড়ির মালিক আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই একজন নায়িকা। পুলিশ তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি জড়িত কিনা, তা এখনও বুঝতে পারছি না। পুলিশের তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টা জানতে পারব।
চালকের খোঁজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চালকের খোঁজও পাওয়া যাবে। গাড়ির মালিকের কাছে চালকের যেসব তথ্য আছে, তা নিয়েই চালকের বাড়িতে যাওয়া হবে।
এর আগে রুবিনা বলেন, আমি ড্রাইভিং পারি না এবং আমার স্বামীও বাসায় ছিল না। তাই নিজের গাড়ি রেখে বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার জন্য উবার কল করি। পরে উবার চালক হাতিরঝিলে উঠে সরাসরি ধানমন্ডির রোডে না ঢুকে গুলশানের দিকে প্রবেশ করে। জানতে চাইলে বলেন আপনার লোকেশনেই যাচ্ছি চুপ থাকেন। মঙ্গলবার রাস্তা ফাঁকা থাকার পরও সে গুলশান রোডে ঢুকে পড়ে। তখন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ স্পিডে গাড়ি টেনে যাচ্ছিল চালক।
বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ লাগলে আমাকে এখানেই নামিয়ে দিতে বলি। তখন সে আমাকে বলে চুপ থাক, কোনো কথা বলবি না। তারপর আমি গাড়ির গ্লাস তুলে বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করি। কিন্তু কারও কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে গতি একটু কম মনে হলে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাই।
প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করছি? দিনে দুপুরে কি আমাদের নিরপত্তা পাব না? উবার থেকে যদি এমন হয় তাহলে আমরা কাকে ভরসা করব? আজকে যদি গাড়ি থেকে যদি জাম্প করে না নামতাম তাহলে আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত?
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’ সিনেমার দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নিঝুম। এরপর ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘মেঘকন্যা’, ‘বেসামাল’ নামে সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে ‘দুই মা’ এবং ‘বন্ধু তুই আমার’ নামের দুটি সিনমোয় কাজ করছেন নিঝুম।
কালের আলো/এসএকে