বঙ্গবন্ধু পরিষদের মালা খানকে বরখাস্তসহ ৫ দফা দাবি

প্রকাশিতঃ 1:02 pm | January 26, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার সহযোগী কর্তৃক বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি ও তুলে নেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতরা। এ সময় মালা খানকে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাকে বরখাস্তসহ ৫ দফা দাবি জানায় তারা।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবি, মালা খান একজন চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসর হওয়ার পরও এবং ৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমানের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠকের পরেও এখনও মালা খান বহাল তরবিয়তে আছেন। এমনকি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি ও হুমকি-ধামকি করে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বিআরআইসিএমের সিনিয়র সাইন্টিস্ট অফিসার জাবেদ বিন আহমেদ। তিনি বলেন, যেই মুহূর্তে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করছি ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের সহকর্মী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মালা খানের দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান মিথ্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাবরণ করছেন। কিন্তু অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রিধারী, দুর্নীতিপরায়ণ এবং গোপন আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা মালা খান এখনও বহাল তবিয়তে। এমনকি গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা ছাত্র জনতার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, তাদের মামলা-হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—

১. অনতিবিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ১০ কর্মদিবসেরে মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন ও অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. অনতিবিলম্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
৩. মশিউর রহমানসহ বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-হয়রানির সাঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৪. হয়রানিমূলক মামলা বাণিজ্যকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

কালের আলো/এএএন/কেএ