ছাত্রনেতারা সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলে যোগ দেবে না
প্রকাশিতঃ 2:39 pm | January 26, 2025
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক বা ছাত্রনেতারা সরকারে থেকে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের (বা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে) কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এতে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।
পোস্টে আইন উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা এতে যোগ দিতে যাচ্ছেন না। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। একইসঙ্গে জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি রাজনৈতিক দলিল। এটি প্রণয়নে গনঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামত আন্তরিকভাবে প্রতিফলনের ইচ্ছা ছাত্রনেতাদের রয়েছে। সেই জায়গায় সবার সহযোগিতা থাকা প্রয়োজন।
পোস্টে তিনি আরো বলেন, বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের (বা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে) কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এতে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত ও বেপরোয়া করে তুলতে পারে তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েকদিনে পেয়েছি।
‘গত দু’দিন ফেসবুক ছেয়ে গিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতাদের পলায়নের গুজবে। এই গুজবের উন্মত্ততায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা করার চেষ্টা করেছে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আমার কাছে দু-একজন ফোন করেছেন, ঘটনা কী জানার জন্য’।
আসিফ নজরুল লেখেন, আমি যতোটুকু জানি আর বিশ্বাস করি তাতে বিএনপি ষড়যন্ত্র বা ১/১১ ধরনের কিছুতে আগ্রহী নয়। ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা এতে যোগ দিতে যাচ্ছেন না।
বিএনপি ও ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচন-কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও অনাগ্রহী নন (এর ধরন ও ফর্মুলা আলোচনা সাপেক্ষে)। তাই বিরোধের কোনো কারণ নেই। সবাইকে বরং বুঝতে হবে ঐক্য ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই।
তিনি লেখেন, গণহত্যাকারীদের দল আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে লুটের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা, অনেক অন্ধ স্তাবক ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক, তাদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাশালী ভিন্ন রাষ্ট্র।
এদেরকে রুখতে হলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু তা বাংলাদেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে ওঠার পর্যায়ে যেন না যায়।
কালের আলো/এএএন/কেএ