জন্মদিনে শুভাকাঙ্ক্ষী-প্রিয়জনের শুভেচ্ছায় সিক্ত মির্জা ফখরুল 

প্রকাশিতঃ 5:53 pm | January 26, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষী-প্রিয়জনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৭৮তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে ‘গণতন্ত্র ফিরে পাবার’ কথাও বললেন তিনি। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ৭৭ বছর পূর্ণ করলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। পা দিলেন ৭৮-এ।

মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুড়ো হয়ে গেছি, এখন তো বিদায়ের প্রান্তে। তারপরও মনের ভেতরে যে স্বপ্ন, যে প্রত্যাশা তা কিন্তু চিরঞ্জীব আছে। সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। বয়সের এই প্রান্তে এসে এই বিশ্বাসটুকু আমি করি। আমাদের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো, যে চ্যালেঞ্জগুলো, তা অধিকাংশই সমাধান করা সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে আসবে, সেই প্রত্যাশায় আছি আর কী।’

শরীরটা ভালো যাচ্ছে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার আমার গোটা পরিবারই ঢাকায়। একসাথে এবার এই দিনটি কাটছে।’

জন্মদিনের অনুভূতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জন্মদিন আমি আসলে পালন করি না। ৭৭ বছর বয়স পেরুলাম, বলতে পারেন একটা লং জার্নি। এই ৭৭ বছরে বহু পরিবর্তন দেখেছি, বহু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, বহু জীবন দেখেছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন যাওয়ার পালা, তবে আশা এখন একটাই, প্রত্যাশা একটাই, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের দিকে যাবে, গণতন্ত্র ফিরে পাবে। এই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দেশের মানুষ, আমাদের বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী যে আত্মত্যাগ করেছে, ফ্যাসিস্টদের যে নিপীড়ন, নির্যাতন ভোগ করেছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে, নির্মমতার মুখে পড়েছে- এ রকম চিত্র আপনি কোথাও খুঁজে পাবে না, এটা নজিরবিহীন।’

মির্জা ফখরুল জানান, ‘সকালে ঘুম ভেঙেছে দুই মেয়ের ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ শুনে। আমার নাতি-নাতনিরাও উইশ করেছে নানাকে। এটা অন্যরকম এক আনন্দ। ২৬ জানুয়ারি জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই বন্ধু, স্বজন, নেতাদের অনেকে টেলিফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’

সকালে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও এক কাপ চা দিয়ে জন্মদিনের উইশ করেছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সিনিয়র নেতারাও টেলিফোন করেছেন।’

১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। তার বাবার নাম মির্জা রুহুল আমিন এবং মায়ের নাম মির্জা ফাতেমা আমিন।

কালের আলো/এমডিএইচ