সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ’র জানাজায় দুই উপদেষ্টা ও তিন বাহিনী প্রধান
প্রকাশিতঃ 9:26 pm | January 26, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ (বীরউত্তম) এর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান, ঢাকা ও মিরপুর সেনানিবাসের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২ জানুয়ারী থেকে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কে এম সফিউল্লাহ ১৯৫৫ সালে ১২তম পিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর-৩ এর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনস্ত ‘এস ফোর্স’ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বাহিনীর তিনটি নিয়মিত ব্রিগেডের একটি ব্রিগেড হিসেবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশগ্রহণ করে। বিলোনিয়ার প্রথম যুদ্ধ ও দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত যুদ্ধ, আখাউড়ার যুদ্ধ, কিশোরগঞ্জ সদর আক্রমণ, নরসিংদী দখলের যুদ্ধ এবং ভৈরব-আশুগঞ্জের যুদ্ধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কালের আলো/আরআই/এমকে