দুই বছরের মধ্যে দিল্লিকে ‘বাংলাদেশি’ মুক্ত করব: অমিত শাহ
প্রকাশিতঃ 1:08 pm | January 27, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে দুই বছরের মধ্যে দিল্লিকে ‘বাংলাদেশি’ মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই ও সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির রাজনীতি। ইতোমধ্যে বিজেপি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগ করেছে, অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের ভোটের ভিত্তিতে এতোদিন নির্বাচনে জিতেছে আম আদমি পার্টি।
এদিন, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস থাকলেও এদিন নির্বাচনের প্রচার বাদ দেননি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। রোববার ভোটের প্রচারে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টিকে (আপ) ‘অবৈধ আমদানিওয়ালি পার্টি’ (অবৈধ আয়ের দল) হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷
দিল্লির নরেলা বিধানসভা আসনে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দিল্লিতে ১০ বছরের শাসনকালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা প্রচার এবং দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করেননি।
জনগণকে আম আদমি পার্টিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে তাদের ‘দুঃশাসন’ শেষ করার আহ্বান জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি তার সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানী করবে। আগামী মাসের নির্বাচনে যদি বিজেপি জয়ী হয়, তাহলে দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গাদের হাত থেকে মুক্ত করবে।
এর আগে গত শনিবার এক জনসভায় অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, আম আদমি সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। আর রোববার তিনি বলেন, কেজরিওয়াল কেবল ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলেছেন ৷ আপ মানে ‘অবৈধ আমদানিওয়ালি পার্টি’।
ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ সরকার কেবল জনগণকে মিথ্যা বলেছে এবং দুর্নীতি করে গেছে করে বলেন, পুরো দিল্লি আজ নোংরা পানি সরবরাহ এবং জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করছে। স্কুলগুলো শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।
প্রসঙ্গত, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। আর আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
কালের আলো/এসএকে