বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ 3:47 pm | January 27, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শিক্ষকদের বেতন নিয়ে প্রকাশিত একটি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

উপদেষ্টার দাবি, তার বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয়’বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা। ‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’- শীর্ষক উপদেষ্টার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদটির প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করায় তা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বিধায় উপদেষ্টা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।

‘আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি উপস্থাপন না করে বিকৃত অর্ধসত্য বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। মূলবক্তব্যে কতিপয় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদান ও নিয়মিত উপস্থিতির ক্ষেত্রে তাদের উদাসীনতার বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষক নিয়মিতভাবেই বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত থাকছেন এবং প্রকারান্তরে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে  বক্তব্যের উল্লিখিত অংশটুকু প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়ে কোনোরূপ বক্তব্য প্রদান করা হয়নি। প্রাথমিকে শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে অত্যন্ত আন্তরিক এবং আগে আমার বিভিন্ন বক্তব্যে ও গণমাধ্যমে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সেটা স্পষ্ট করেই বলেছি। তাই প্রকাশিত সংবাদে বেতনভাতার বিষয়টি জড়িয়ে যে বিকৃত, অর্ধসত্য শিরোনামসহ সংবাদ যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এ ধরনের বক্তব্য আমি প্রদান করিনি। ’

কালের আলো/এমডিএইচ