গুচ্ছ ভর্তি বহালের দাবিতে ইউজিসির মূল ফটকে তালা

প্রকাশিতঃ 6:06 pm | January 27, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের দাবির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না আসায় এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সিয়াম হাসান বলেন, ‘রোববার ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে আজকের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তারা বলেছিলেন কঠোর নির্দেশনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছে রাখতে বাধ্য করা হবে। অথচ আজ দুপুর গড়িয়ে গেলেও আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর অফিস সময় শেষ। ইউজিসি বলতে পারে যে আজ তো অফিস আওয়ার শেষ, আগামীকাল দেখবে। সেজন্য আমরা চাই, আজকের মধ্যে নির্দেশনা আসুক। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা ইউজিসি ফটকের তালা খুলব না।’

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘২৪-এর বাংলায় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছ চাই’ লেখা ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবককেও সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এর আগে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠক শেষে ইউজিসি সদস্য (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সিয়াম নিশ্চিত করলে বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা ইউজিসির সামনে থেকে চলে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, গুচ্ছ বহাল রাখতে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এ নিয়ে সরাসরি কোনো নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের আমরা পরামর্শ দিয়েছি, তাদের লিখিত আবেদন করতে বলেছি। তারা যে আবেদন দেবে, সেটাতে জোর সুপারিশ করে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেওয়া সিয়াম বলেন, ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা লিখিতভাবে দাবি জানাব। ইউজিসি তাদের জায়গা থেকে তারা সুপারিশ করবে।

কালের আলো/এসএকে