জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে প্রয়োজন তরুণদের নেতৃত্ব

প্রকাশিতঃ 9:42 pm | January 27, 2025

কালের আলো ডেস্ক:

জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে তরুণদের নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গুলশানে হোটেল আমারই ঢাকায় সেভ দা চিলড্রেন আয়োজিত কপ-২৯  মিডিয়া ডায়ালগ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা তরুণ জলবায়ু কর্মীরা সবাই কমিউনিটি থেকে এসেছেন আপনারা সব থেকে ভালো বোঝেন কমিউনিটির চাহিদা সম্পর্কে যে কারণে বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে আপনারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ‘জেনারেশন হোপ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আপনাদের নেতৃত্বে, আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানের এই লড়াইয়ে। শিশু ও তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাদের অনুরোধ করতে চাই তরুণ জলবায়ু কর্মীদের কন্ঠস্বর বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯ ) দুই সপ্তাহের আলোচনা ও দর-কষাকষির পর, সম্মেলনে জলবায়ু তহবিল বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে। এতে ২০৩৫ সাল অবধি উন্নত দেশগুলো প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ডলার ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও অভিযোজনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে এই অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম, যা বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের শুধুমাত্র একটি আংশিক সমাধান হতে পারে। বাংলাদেশে জলবায়ু সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের আরও সম্পৃক্ত করা উচিত।

সংলাপটি উদ্বোধন করেন— সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন, কমিউনিকেশন্স এবং মিডিয়া বিভাগের পরিচালক জিনাত আরা আফরোজ।

সংলাপে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর হিউম্যানিটারিয়ান সেক্টরের পরিচালক মো. মোস্তাক হোসেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ-এর জলবায়ু সহনশীলতা সম্পর্কিত উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যখন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনে আমরা প্রাথমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দেখেছি যে প্রাথমিক বার্তাগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে উপযোগী করে তৈরি করা প্রয়োজন। এই প্রচারণায় তরুণ কর্মীরা অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আমাদের দেখিয়েছে যে তাদের মধ্যে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তরুণ জলবায়ু কর্মীদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ তরুণ জলবায়ু কর্মী এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে একটি সংলাপের আয়োজন করে। এই সংলাপটি তরুণ জলবায়ু কর্মীদের মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কপ-২৯ পরবর্তী ভাবনাগুলো ভাগ করে নেয়ার সুযোগ করে দেয়। সেইসঙ্গে তরুণরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।

কালের আলো/এমডিএইচ