৩২টি জেলার ১৩০টি স্পটে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ

প্রকাশিতঃ 5:24 pm | January 28, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো: 

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন পর্যটক স্পটে নানা সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ নানা কারণে হতাশ হয় পর্যটকরা। বলার মতো কাউকে না পেয়ে আস্থার জায়গা থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে পর্যটকরা তাদের হতাশার কথাগুলো বলেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

মাইনুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে যখন ট্যুরিস্ট পুলিশ যাত্রা শুরু করে তখন এর জবনল ছিল মাত্র ৬০০ জন। বর্তমানে এ সংখা প্রায় ১৪শ’। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে ট্যুরিস্ট স্পটের সংখ্যা ১৬শ’ এর মতো। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ৩২টি জেলার মোট ১৩০টি স্পটে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কোনো বিদেশি পর্যটক বা পর্যটকদের গ্রুপ যদি বাংলাদেশে ঘোরাঘুরির জন্য এসে নিরাপত্তা চায় সেক্ষেত্রে তাদেরও সাপোর্ট দেওয়া হয়। আমরা চাই ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে দেশের পর্যটন ব্যবস্থাপনা আরও নিরাপদ হোক।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজ করার চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্যুরিস্ট স্পট কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। অথচ এ সমুদ্রের পাশে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই, গোসলের পর জামাকাপড় পরিবর্তনের জায়গা নেই, মোবাইল বা ব্যাগ রাখার নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। তারপরও বিপুল সংখ্যক পর্যটক নিয়মিতই কক্সবাজার যাচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে প্রায়ই পর্যটকরা ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে নিজেদের হতাশার কথা ব্যক্ত করেন।

এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) নাদিয়া ফারজানা। তিনি জানান, নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটক অধ্যুষিত এলাকায় প্যাট্রোলিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা, হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মালিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট স্পটে হাই-রেজুলেশনের ক্যামেরা স্থাপন করে রিয়েল টাইম মনিটরিং করে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও নির্বিঘ্ন করতে পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী গাড়ি ও সারভিলেন্স বা রেসকিউ ড্রোন কেনা প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি বুথ করা হবে। সেই বুথ থেকে দেশে নেমেই বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা পাবে। পাশাপাশি দেশে ঘোরাঘুরির সময় তাদের পুলিশি নিরাপত্তার প্রয়োজন হতে পারে। সেসব বিষয়েও পর্যটককে এ বুথ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন, খুলনা-বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহ জালাল, পুলিশ সুপার (লজিস্টিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় এটিজেএফবির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, যুগ্ম মো. শফিউল্লাহ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস কবীর ও আদনান রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রুমি, খালিদ আহসান, গোলাম মর্তুজা অন্তু ও সদস্য সরোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমডিএইচ