পরীমণির জামিনদার কে এই তরুণ?

প্রকাশিতঃ 5:31 pm | January 28, 2025

বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:

অভিনেত্রী পরীমণি আবারও ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

আলোচনার সূত্রপাত একটি শোরুম উদ্বোধন কেন্দ্র করে। এদিন টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল তার কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে তা স্থগিত করা হয়েছে।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরীমণির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে মদপানের পর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) চিত্রনায়িকা পরীমণির নামে  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন পরীমণি। আদালতে জামিনের রায় শুনে কেঁদে ফেলেন এই নায়িকা। এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে পরীমণির পাশে নতুন করে এক তরুণকে দেখা যাচ্ছে।  পরীমণির ফেসবুক পেজে এই তরুণকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। তাতে পরীমণি লেখেন, ‘…পৃথিবীকে জানতে দিয়ো, তুমি এই পৃথিবীর আলো…।

এ ছাড়া ১৩ জানুয়ারি পরীমণির ফেসবুক পেজে শেখ সাদীর আরও ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। একই দিন শেখ সাদীর আরও একটি ভিডিও পরীমণির ফেসবুক পেজে প্রকাশ পায়।

গত সোমবার পরীমণির সঙ্গে আদালতেও দেখা গিয়েছে ওই তরুণকে।  এবার জানা গেল আদালতে পরীমণির জামিনদারও হয়েছেন তিনি।  তরুণ শোবিজ অঙ্গনের বেশ পরিচিত মুখ। তিনি সংগীতশিল্পী শেখ সাদি খান।  পরীর জামিনদার হওয়া তরুণকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে শেখ সাদী বলেন, পরীমণি আমার সহকর্মী। তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর শুনে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তখন পরীমণির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। জামিন হওয়ার পর তার আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হয়েছি।

শেখ সাদী জানান, একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমণির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকে পেশাগত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয়। তরুণ গায়ক শেখ সাদীর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান রয়েছে। ইউটিউবে এসব গানের ভিউ কোটি পার হয়েছে।

শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম, আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। গতকাল আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।

পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। শেখ সাদী ছাড়া পরীমণির আরেকজন জামিনদার তিনি। নীলাঞ্জনা রিফাত  বলেন, আদালতের জামিন আদেশের পর পরীমণি জামিননামা লেখা হয়। আমি জামিনদার হয়েছি। আরেকজন জামিনদার হয়েছেন শেখ সাদী। জামিননামাটি আদালতে জমাও দিয়েছি।

কালের আলো/এমডিএইচ