যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধী ২ শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

প্রকাশিতঃ 5:36 pm | January 30, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধী দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ধর্ষক রেজাউল করিম (৬০) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে যাত্রাবাড়ী গোলাপবাগ এলাকার একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুদের মা জানান, তিনি এলাকায় রাস্তায় পিঠা বিক্রি করেন। আর শিশু দুটির বাবা খিচুড়ি বিক্রি করেন। ঘটনার সময় তারা কাজে ছিলেন। তখন একই ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া রেজাউল করিম তাদের বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে। শিশু দুটির ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা প্রথমে এগিয়ে গেলে ঘরে ঢুকে রেজাউলকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর লোকমারফত খবর পেয়ে বাবা মা বাসায় ছুটে যান। বাসায় গিয়ে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি আরও জানান, তারা বাড়িটির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তাদের ৩টি মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ১৬ এবং মেঝো মেয়ের বয়স ৮। তারা দুজনই বাক প্রতিবন্ধী। এ ছাড়া ছোট মেয়েটি সুস্থ। ধর্ষক রেজাউল আগে তৃতীয় তলায় তাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকত। তবে তার চলাফেরা ও কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় বাড়িওয়ালার মাধ্যমে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে বাড়িটির নিচ তলায় ফ্ল্যাটে দিয়ে দেয়। এরপরও বাসা ফাঁকা পেলে সে বিভিন্ন অযুহাতে তাদের বাসায় যেত। পরিবারের ধারণা, এরআগেও শিশুটির সঙ্গে এমন পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় রেজাউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বুধবার মধ্য রাতে শিশু দুটিকে পুলিশের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজকে তাদের বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এখনও রেজাল্ট আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে, তারা ধর্ষিত হয়েছে। শিশুরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারা খুবই ভয় পাচ্ছে। নিয়মিত তাদেরকে কাউন্সিলিং করাতে হবে।

এ দিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসীম উদ্দীন জানান, রেজাউল করিম নামে ওই ব্যক্তি শিশু দুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজনই আটকের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মেয়ে দুটিকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

কালের আলো/এএএন/কেএ