সুইডেনে কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
প্রকাশিতঃ 5:45 pm | January 30, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
২০২৩ সালে পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েকটি কপি পুড়িয়ে মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সৃষ্টি করা সালওয়ান মোমিকাকে সুইডেনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্টকহোমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৩৮ বছর বয়সী ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকাকে হত্যা করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সুইডিশ পুলিশ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। একজন প্রসিকিউটর তাদের আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আটককৃতদের মধ্যে হামলাকারী আছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা।
বিভিন্ন ইউরোপীয় গণমাধ্যমের জানা গেছে, কোরআন পোড়ানোর বিচারের পর আদালতের রায় পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তাকে হত্যা করা হলো।
স্টকহোমের একটি আদালত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ‘জাতিগত বা জাতীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের অপরাধে’ ফৌজদারি বিচারে মোমিকা এবং অন্য এক ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার কথা ছিল। তবে রায়ের ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুইডিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় মোমিকা টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। রয়টার্সের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ একটি ফোন তুলে নিয়ে একটি লাইভস্ট্রিম শেষ করছে।
২০২৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রথম দুইবার কোরআন পোড়ান মোমিকা। প্রথম দফাটি হয় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে। দ্বিতীয়টি ইরাকি দূতাবাসের বাইরে।
ওই বছরই মাইগ্রেশন এজেন্সি রেসিডেন্সি আবেদনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য মোমিকাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল সুইডেন। কিন্তু ইরাকে ‘নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ঝুঁকি’ থাকায় এটি করতে পারেনি।
বাকস্বাধীনতা আইনের অজুহাতে সুইডিশ পুলিশ কর্তৃক অনুমোদিত এই ধর্ম অবমাননাকর কাজটি মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ও নিন্দার ঢেউ ছড়িয়ে দেয়।
কালের আলো/এএএন/কেএ