‘বিশ্ব ইজতেমা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’
প্রকাশিতঃ 7:04 pm | January 30, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই বিশ্ব ইজতেমা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এজন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম ও পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয়। আমরা ইসলামের সঠিক আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি। বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যে সম্মিলন ঘটে তাতে ইসলামকে জানার ও বুঝার পথ অনেক সুগম হয়। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমদের আলোচনা হতে এতে অংশগ্রহণকারীরা রুহানিয়াত অর্জনে মুসলমানদের জন্য করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা পেয়ে থাকেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে উম্মাহর লালিত, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে। এ বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি আশাবাদী।
কালের আলো/এএএন/কেএ