লিবিয়ায় উদ্ধার লাশ বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিতঃ 9:26 am | February 03, 2025

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, কালের আলো:

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার লিবিয়া থেকে ইতালিতে লোক পাঠানোর পেছনে থাকা মাফিয়া দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। গত কয়েক দিনে যে লাশগুলো উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি আছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।

রোববার দূতাবাসের ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। সম্ভবত ২৫ তারিখ রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরবর্তী সময়ে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে  লাশ ভেসে আসতে থাকে। ২৮ তারিখে ৭, ২৯ তারিখ ১১, ৩০ তারিখে ৩, ৩১ তারিখ ৩– সর্বমোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো পূর্বাঞ্চলে আজদাদিয়া শহরে সমাহিত করা হয়েছে। লাশগুলো পচে যাওয়ায় সংরক্ষণ করার উপায় ছিল না।

তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তারা হলো রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের জানিয়েছে, লাশগুলোর অবয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক। লাশগুলোর সঙ্গে কোনো নথি ছিল না। ফলে লাশগুলোকে বাংলাদেশি হিসেবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫৬ জনের মধ্যে ২৩ জনকে উদ্ধার শেষে দাফন করা হয়েছে। আর দু’জনকে সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোনো একটি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি নিখোঁজদের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। আমরা ব্রেগা এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছি, তবে এখনও অনুমতি পাইনি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা, এটাকে কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেড় বছরে ৪ হাজার ২০০ লোককে ডিটেনশন সেন্টার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছি।

কালের আলের আলো/এসএকে