১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন মোদি

প্রকাশিতঃ 11:04 am | February 04, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিকভাবে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজে ফেরার পর, এটি হবে মোদির প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। এক হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাও আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

একটি মার্কিন সামরিক বিমান ভারতে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের নিয়ে রওনা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসে।

সূত্র জানিয়েছে, ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদি ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা দেবেন। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র সফর এমন এক সময়ে হতে পারে যখন ভারতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ও শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এক ফোনালাপ হয়। সেই আলোচনায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ‘বিশ্বাসভিত্তিক’ অংশীদারিত্বে পরিণত করার লক্ষ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন দুই নেতা।

হোয়াইট হাউজ পরে জানায় যে, ট্রাম্প ভারতকে আরও বেশি পরিমাণে মার্কিন নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন এবং ন্যায্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ভারত ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্ক বিশেষ করে ক্লিন এনার্জি খাতে সম্প্রসারণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

শনিবার ভারত তার পারমাণবিক দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত আইন সংশোধন এবং একটি পারমাণবিক জ্বালানি মিশন গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ভারতের সিভিল লায়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ অ্যাক্ট, ২০১০-এর কিছু ধারা পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ১৬ বছর আগে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্মল মডুলার রিঅ্যাক্টরস নিয়ে পারমাণবিক সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চীন-বিরোধী কৌশলগত প্রচেষ্টায় ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ভারতও তার নাগরিকদের জন্য দক্ষ কর্মীর ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।

ভারত এর আগে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি এড়াতে সচেষ্ট ছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের অভিযোগ তুলেছিল

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

কালের আলো/এমডিএইচ