কুমিল্লায় জিওসি’র সঙ্গে তৌহিদের পরিবারের সাক্ষাৎ, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশ
প্রকাশিতঃ 1:02 am | February 05, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর নির্যাতনে নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কুমিল্লার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক। গত সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত পরিবারটি জিওসি’র দপ্তরে ছিলেন।
এ সময় তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ, স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার, দুই ভাগনি মাহবুবা উদ্দিন ও সানজিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেনা ক্যাম্পে যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে ইতোমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। জিওসি আরও বলেন, নিহত তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ঘটনার পর সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ ও বিচার পেতে জিওসিসহ সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট। জিওসি আমাদের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। এরপর তিনি আমাদের বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর যাঁরা এ ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিচার সেনাবাহিনীর কোর্টে হবে। আর বাইরের যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিচার স্বাভাবিক আদালতে হবে। সেনাবাহিনী বিচার পেতে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।’
নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৪০) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। তাঁর স্ত্রী ও চার মেয়ে আছে। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে