কুয়াশায় ঢাকা পঞ্চগড়

প্রকাশিতঃ 10:03 am | February 05, 2025

পঞ্চগড় প্রতিবেদক, কালের আলো:

পঞ্চগড়ের ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। এর আগে মঙ্গলবার এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলায় আগুন জ্বালিয়ে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তি একটু বেশি। যে যার সাধ্যমতো গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

অপরদিকে, তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। ভোরে কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ।

এদিকে, জেলাসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

কালের আলো/এমডিএইচ