সরকারি চাকরিতে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই চায় না কমিশন
প্রকাশিতঃ 6:41 pm | February 05, 2025
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/1738756473.webp)
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সরকারি চাকরির নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়ার প্রথা বাতিলের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটির নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়ে প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশ বা কোনো গোয়েন্দা বিভাগের কাছে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়ার প্রথা বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হলো। কারণ জনপ্রশাসনে রাজনীতিকীকরণ এই স্তর থেকেই শুরু হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যাবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ বিভাগের কাছে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি না, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন চাওয়া হবে। প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদন চাইতে পারে। পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরিবর্তে প্রার্থীর যোগদান করা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।
এ ছাড়া পাসপোর্ট, দ্বৈত নাগরিকত্ব, সমাজসেবা সংস্থা বা এনজিওর বোর্ড গঠনের মতো নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম বাতিল করার জন্যও সুপারিশ করা হলো। একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র থাকলে তার বিষয় নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে আয়োজিত কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না, এমন নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে।
বিশেষ করে বিভিন্ন সার্ভিসের নামে যেসব সমিতি রয়েছে, তারা কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতার পরিচয় দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বা দাবি আদায়ের জন্য কোনো বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারবে না।
ব্যক্তি হিসেবে কেউ সংক্ষুব্ধ বা বৈষম্যের শিকার হলে তার প্রতিকারের জন্য তিনি বিধি অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।
কালের আলো/এএএন/কেএ