নির্বাচন দিতে গড়িমসি, ঢাবি সাংবাদিক সমিতিতে সংক্ষুব্ধদের তালা
প্রকাশিতঃ 5:22 pm | March 23, 2019
ঢাবি প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আসিফ ত্বাসীন ও মাহমুদুল হাসান নয়নের কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে সমিতিতে তালাবদ্ধ করেছে সমিতির সদস্যরা।
শুক্রবার(২২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিঅস্থ সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে দুটি তালা মারে সদস্যরা।
এসময় তালাবদ্ধ সমিতির দরজায় ‘সাংবাদিক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অবৈধ ও বিলুপ্ত’ এবং ‘শিবিরের মদদদাতা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো’ নামে দুটি ব্যানার লেখা পাওয়া যায়।
সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর এক বছরের জন্য দায়িত্ব নেয়া এই কমিটি বিভিন্ন সময় মেয়াদ বাড়িয়ে সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২২ মার্চ পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানার কারণে সমিতির সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে সমিতিতে এই তালা দেয়।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সাংবাদিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ডিসেম্বর দায়িত্বগ্রহণ করে। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন সাধারণ সভায় তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে পরবর্তীতে সমিতির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এই সময়ের মধ্যে সমিতির নির্বাচনসহ নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার কথা ছিল।
এরপর এই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সমিতির সভাপতি আসিফ তাস্বীনের নেতৃত্বে সমিতি ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্য ন্ত অবৈধভাবে সমিতি ধরে রাখে। এরপর সমিতির নতুন করে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারী। সমিতির ওই সাধারণ সভায় ডাকসু নির্বাচনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইস্যু দেখিয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ২২ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
এরপর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি পদ থাকাকালীন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনিত জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর কাছে আসিফ পরাজিত হয়। এরপর ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিয়োগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে আসিফ তাস্বীন।
সর্বশেষ গত ২১ মার্চ সমিতির প্রথা লঙ্ঘন করে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক একক সিদ্ধান্তে সমিতির নতুন সদস্য পদ আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে ২১ থেকে ২৩ মার্চ সমিতির নতুন সদস্যপদ দেয়ার দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। ২২ মার্চ কেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না তার কোন কারণ দেখানো হয়নি এবং নতুন কোন নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়নি।
কালের আলো/এমএইচএ