চীনের সঙ্গে ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়বে: ফারুকী
প্রকাশিতঃ 7:19 pm | February 07, 2025
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/1738932277.faroque.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
চীনের সঙ্গে ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলায় চাইনিজ বুক হাউজ স্টল ভ্রমণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নে চীন আমাদের খুব ভালো সঙ্গী। এর বাইরেও আমরা আরও অনেকগুলো ফন্টে কাজ করছি। সাংস্কৃতিক ফন্টে আমরা কাজ করছি। দ্রুতই আপনারা একটা ঘোষণা পাবেন। আগামীবছর আমরা আশা করি অন্তত ১০ বই অনুবাদ হবে। তারমধ্যে ৫টা চাইনিজ ক্লাসিক বই বাংলায় অনুবাদ হবে এবং ৫টা বাংলা ক্লাসিক বই চাইনিজ ভাষায় অনুবাদ হয়ে চায়নাতে থাকবে। আমরা দশটা বই দিয়ে শুরু করবে। এটা সামনে আরও বাড়বে। সামনে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা হবে।
তিনি বলেন, আমি একটু আভাস দিয়ে রাখতে চাই, চায়নিজ সরকারে সহযোগিতায় আমরা এমন কাজ করতে চাচ্ছি, যা বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী সব মানুষকেই আনন্দিত করবে। আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই জানতে পারব।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার আশঙ্কার বিষয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমরা কোনো ধরনের মব জাস্টিসে বিশ্বাস করি না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক আছে। এখন রাষ্ট্র বিনির্মাণের সময়। ৫ আগস্টের পর ১৫ দিন পুলিশ ছিল না। আমরা সবাই সবার পাশে এসে নিজেদের রক্ষা করেছি। আমরা এখনো সে সময়টি পার হইনি। আমাদের এখনো সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। আমরা যেন কেউ নিজেদের মবিংয়ের জড়িত না করি।
তিনি বলেন, আমি পতিত ফ্যাসিস্টকেও সংযমী আচরণ করতে হবে। এতগুলো মানুষকে মেরেছেন। আপনারা বিচারের মধ্য দিয়েও যাননি। আপনারা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন। আপনারা যেসব উসকানি দিচ্ছেন, সেগুলো খারাপ। তবে আমরা মবের পক্ষে তো না-ই, বিপক্ষে কাজ করছি।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে চীন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চায়না সফরে আমরা দুপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যে পৌঁছেছি। চায়না এরই মধ্যে কুইনমিং ও ইয়ানমান প্রদেশে তিনটি হাসপাতাল মনোনীত করেছে। এ হাসপাতালগুলোতে সুযোগ-সুবিধা, ডাক্তার ও সেবা অনেক উন্নত।
তিনি বলেন, পরের পদক্ষেপ হলো যারা চীনে চিকিৎসা নিতে চান তাদের বাংলাদেশের সরকার ও ট্রাভেল এজেন্সি থেকে প্যাকেজ প্রদান করা। যারা ইউনাইটেড প্রবিন্সে চিকিৎসা নিতে চায়, তাদের এরই মধ্যে বিমানের টিকিট, ভিসা, খাবার এবং অন্যান্য সেবার প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মে-জুন মাসের দিকে বাংলাদেশের রোগীদের কুনমিং শহরের তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে। সে কারণে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।
কালের আলো/এএএন/কেএ