যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান, ৯ যাত্রীর সবাই নিহত

প্রকাশিতঃ 9:11 am | February 08, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উড়োজাহাজটির চালক এবং সেখানে থাকা ৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাকহক চপার হেলিকপ্টারের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে টুকরো টুকরো হয়ে পোটোম্যাক নদীতে ডুবে গিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক বিমান। এ ঘটনায় ওই বিমানের চালক এবং ৬৮ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিলেন।

আলাস্কার পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো  জানিয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা বেরিং এয়ারের একটি সেসনা ক্যাটাগরির বিমান। এ ক্যাটাগরির বিমানগুলো ছোটো আকারের হয়।

বেরিং এয়ারের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদামাধ্যম ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ৩৭ মিনিটে আলাস্কার পশ্চিমাঞ্চলে উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ড এলাকার উদ্দেশে রওয়না হয়েছিল উড়োজাহাজটি। উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ডের দূরত্ব ১৪০ মাইল। যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি থেকে রাডারে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়।

মার্কিন কোস্টগার্ড আলাস্কা অঙ্গরাজ্য শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমোডর বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাডরের রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে সংকেত এসেছিল বিমানটি থেকে। আমরা ধারণা করছি, বিমানটির ইঞ্জিনে এমন কোনো গুরুতর ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে এটি বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং ওড়ার গতি হারিয়ে ফেলেছিল।”

বেঞ্জামিন ম্যাকলিটায়ার কোবল সাংবাদিকদের জানান, আলাস্কার নোম এলাকা থেকে ৩৪ মাইল দক্ষিণপূর্বে মিলেছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ। সেই ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উড়োজাহাজটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে বাকি ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শুক্রবার এ ঘটনায় শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন আলাস্কার গভর্নর মাইক ডুনালিভি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী রোজ ডুনালেভি— আমরা বেরিং এয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত। নিহত যাত্রীরা, বিমানচালক এবং তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছি।”

সূত্র : এনবিসি

কালের আলো/এসএকে