জুলাইয়ের স্পিরিট ছড়িয়ে দিতে ‘অভ্যুত্থানের কণ্ঠস্বর’

প্রকাশিতঃ 10:51 am | February 08, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‌‌‘গণঅভ্যুত্থানের কণ্ঠস্বর’ শিরোনামে ৩৬ জুলাইয়ের কবিতা পাঠ। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আবৃত্তি করেন ইকবাল আহমেদ। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন সানাউল্লাহ সাগর।

প্রথম পর্বে কবিতা পাঠ করেন চঞ্চল বাশার, ফারুক ওয়াসিফ, জুননু রাইন, ইব্রাহীম নিরব, শাদমান শাহিদ। তারপর সানাউল্লাহ সাগরের কবিতা আবৃত্তি করেন রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা। জুলাইয়ের দিনলিপি নিয়ে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক সমকালের সহকারী সম্পাদক এহসান মাহমুদ।

দ্বিতীয় পর্বে কবিতা পাঠ করেন মাইনুল ইসলাম মানিক, আশিক বিন রহিম, নাহিদা আশরাফি, মামুন আজাদ প্রমুখ। ছড়া পাঠ করেন আহমেদ ইসহাক। জুলাই বিপ্লবে কবিতার ভাষা ও গণমুখী কবিতা নিয়ে বলেন কবি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শামস আরেফিন।

তৃতীয় পর্বে কবিতা পাঠ করেন সীমান্ত হেলাল, মোহাম্মদ জসিম, বহ্নি কুসুম প্রমুখ। অভ্যুত্থানে গানের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন গীতিকার মহসিন আহমেদ এবং পলিয়ার ওয়াহিদের কবিতা আবৃত্তি করেন তরিকুল ফাহিম। গণঅভ্যুত্থানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন কবি নকিব মুকশি।

চতুর্থ পর্বে কবিতা পাঠ করেন মুহিম মাহফুজ, এনামূল হক পলাশ, হাসান মাহাদি প্রমুখ। ছড়া পাঠ করেন জুলফিকার শাহদাৎ। রাজপথের রাজসাক্ষী শিরোনামে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।

পঞ্চম পর্বে কবিতা পাঠ করেন মাসুম মুনওয়ার, সাজ্জাদ সাইফ, সুলতান স্যানাল প্রমুখ। এ পর্বে শহীদ ও আহত পরিবারের গল্প বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশেষ সেল-প্রধান হাসান ইনাম। লেখক-কবি-শিল্পীদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

ষষ্ঠ পর্বে কবিতা পাঠ করেন এহসান হাবীব, সাঈদ ইসলাম, মহিউদ্দীন মোহাম্মদ প্রমুখ। এ পর্বে রাজপথে রুখে দাঁড়ানোর গল্প শোনান নুসরাত নূর। সপ্তম পর্বে কবিতা পাঠ করেন ঈফতেখার ঈশপ, নজরুল মোহাম্মদ, অর্বাক আদিত্য প্রমুখ। শহীদ পরিবার নিয়ে কথা বলেন ফরিদ আহমেদ রনি। কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন কলামিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠান শেষে জুলাইবিষয়ক বই ফরিদ আহমেদ রনির ‘আত্মনিবেদন’, পলিয়ার ওয়াহিদের ‌‘গুলি ও গাদ্দার’, কাদের মাজহারের ‘কারাগারের স্মৃতিকথা’, জিএম রাজিব হোসেনের ‘দ্রোহের গ্রাফিতি’, এনামূল হক পলাশের ‘পলায়নের আগে’ এবং ফেরদৌস মাহমুদ ও নকিব মুকশির কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

কালের আলো/এসএকে