ভারতে ১৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

প্রকাশিতঃ 1:45 pm | February 08, 2025

কলকাতা প্রতিবেদক, কালের আলো: 

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে সাত বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই সঙ্গে তিন ভারতীয় দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ ১৬টি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল, রুপি, টাকা, কেনিয়া ও ইন্দোনেশিয়ান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অর্থের পরিমাণ কত। তা জানায়নি বিএসএফ।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ লাগোয় জলঙ্গি সীমান্ত ফাঁড়িতে টহলরত বাহিনীর সদস্যরা দেখতে পান ঘন কুয়াশার মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ছয় থেকে সাতজন সন্দেহজনক অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করছে।

সঙ্গে সঙ্গেই বাহিনীর পদক্ষেপে দুজন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়। বাকিরা অন্ধকার এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে ভারতীয় সীমান্তে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এ খবর পেয়ে বিএসএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এলাকাটিতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

গ্রেপ্তার দুই অনুপ্রবেশকারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দুজনই বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের সঙ্গে আরও পাঁচজন বাংলাদেশি সঙ্গী ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, তারা সবাই সীমান্তবর্তী মধুবানার গ্রামের একজন ভারতীয় দালালের সহায়তা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার আগেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় তারা। তবে তারই মধ্যে গ্রেপ্তার ওই দুই বাংলাদেশির কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনে, এক ভারতীয় দালালের ফোন কল আসার পরই নতুন কৌশল নেয় বিএসএফ। পরে বাকি পাঁচ বাংলাদেশি এবং তিন ভারতীয় দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে আট বাংলাদেশি। এরা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিল বলে জানিয়েছে নাসিকের আদগাওঁ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই থানার অন্তর্গত একটি নির্মাণাধীন ভবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে সুমন কালাম গাজী নামে (২৭) এক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে প্রথম অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশ করে। এরপর তার হাত ধরেই একে একে অন্যরা সেখানে বসবাস গড়ে তোলে। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কালের আলো/এমডিএইচ