স্থ্যসেবায় অসন্তোষ শতভাগ, ৫০% মনে করে ঘুষ ছাড়া নড়ে না পুলিশ
প্রকাশিতঃ 10:35 pm | February 08, 2025
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/21a2b0adab6c12d418737919b33b9ddd-66cee2562d855.webp)
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জনপ্রশাসনের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার প্রতিক্রিয়া নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রায় শতভাগ সেবাগ্রহীতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৫০ শতাংশ সেবাগ্রহীতার মতে, ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কাজ করে না পুলিশ।
কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সুপারিশের নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছিল।
তহশীল অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর অফিস ,সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসে ৪৩.৪২ শতাংশের মতে ঘুষ দিতে হয়েছে এবং ১৮.৫৯ শতাংশ মনে করেন, তারা কাজ করতে চান না। ১০.১৩ শতাংশ সেবাগ্রহীতা ওই সব অফিসে গিয়ে দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ ইস্যুতে জানানো হয়, প্রায় ৫০ শতাংশ সেবাগ্রহীতার মতে, ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কাজ হয় না। মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছেন, তারা থানায় ভালো ব্যবহার পেয়েছেন এবং ১১ শতাংশ বলেছেন, তাদের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজেই সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ৪ শতাংশ বলেছেন, তারা সঠিকভাবে জিডি করতে পেরেছেন।
প্রায় ৪২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা আয় কর অফিসে ঘুষ ও দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ১০ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারা ওই অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন।
পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে ৩২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি এবং ২৭.৭৫ শতাংশ ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় ১৩ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংশ্লিষ্ট অফিস প্রায় ৪২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা এসব সংস্থার সেবা সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ১৮.৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত পানি সরবরাহ পান না। প্রায় ৮ শতাংশ বলেছেন, তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ সেবাগ্রহীতা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। নির্দিষ্টভাবে প্রায় ৪৬ শতাংশ ভাগ বলেছেন, তারা নিম্নমানের সেবা পেয়েছেন এবং ওষুধ পাননি বলে জানিয়েছেন প্রায় ১২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা।
কালের আলো/এএএন/কেএ