জার্মানিতে নির্বাচন: সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাড়লো ৬ মাস
প্রকাশিতঃ 1:52 pm | February 15, 2025
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/garman-border-20250215134605.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ঘোষণা করেছেন, জার্মানিতে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরো ছয় মাস বহাল থাকবে। ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে অভিবাসন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ।
জার্মানির সীমান্তে বর্তমান অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চ মাসে। এরপর এই মেয়াদ আরো ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর।
জার্মানির ফেডারেল নির্বাচনের বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। এর আগেই এমন পদক্ষেপ প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইউরোপীয় কমিশন, ইইউর নির্বাহী শাখাকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শলৎস।
অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই ব্যবস্থা চালু করেছিল জার্মানি।
শলৎস বলেছেন, এই ব্যবস্থা চালুর পর সীমান্ত থেকে ৪৭ হাজার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৯শ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনও ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ছয় মাস বাড়ানোর ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
একাধিক হামলায় অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন মোকাবিলা ইস্যুতে শলৎসের মধ্যপন্থি সামাজিক গণতন্ত্রী দল – এসপিডি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
নির্বাচন পূর্ববর্তী নানা জরিপে দেখা যাচ্ছে, দলটি বর্তমানে প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এমনটা সত্যিই ঘটে থাকলে তা হবে দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনি ফল।
জনপ্রিয়তা বিবেচনায় রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ রয়েছে প্রথম স্থানে। অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলাকে প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি করে তুলেছে এই দলটি।
কালের আলো/এসএকে