‘নতুন বাংলাদেশকে আর কোনও ফ্যাসিবাদের হাতে ছেড়ে দেব না’

প্রকাশিতঃ 7:28 pm | February 15, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

ছাত্রজনতার রক্তের মধ্যদিয়ে ফিরে পাওয়া নতুন এই বাংলাদেশকে আর কোনো ফ্যাসিবাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেন, নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও এ দেশে ইকামাতে দ্বিনের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী পশ্চিম জোনের রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় স্বৈরশাসনের কবলে পড়ে মানবাধিকার, ভোটাধিকার সামাজিক সাম্য ও নিরাপত্তা ধ্বসে পড়েছিল। স্বাধীনভাবে রাজনীতি চর্চার সুযোগ ছিল না। ন্যায়বিচার ছিল সুদূর পরাহত। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সামনে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্র-জনতা এবং নবগঠিত সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল অবাধ রাজনীতি চর্চার সুযোগ ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জামায়াতে ইসলামী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। যত দিন দেশ ও মানুষের প্রয়োজন পড়বে তত দিন জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক জনশক্তি সব প্রকার লোভ-লালসা ও পদ-পদবির ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের সঙ্গে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও জোনাল ইনচার্জ সৈয়দ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কদমতলী উত্তর থানা আমির আব্দুর রহীম জীবন, মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী থানা আমির মাওলানা সাদেক বিল্লাহ, যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ থানা আমির নওসের ফারুক, যাত্রাবাড়ী পশ্চিম থানা আমির মাওলানা আবুল হোসেন, যাত্রাবাড়ী উত্তর থানা সেক্রেটারি রাসেল মাহমুদ, শরিয়ত উল্লাহ, আ. হালিম মিয়াজি, আবু বকর ছিদ্দিক, আবুল হোসাইন, বোরহান গাজী, মতিউর রহমান খান চপলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

কালের আলো/এসএকে