আমরা বিদেশিদের প্রভুত্ব চাই না : আলাল

প্রকাশিতঃ 7:06 pm | February 17, 2025

কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক, কালের আলো:

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা পাড়ে শুরু হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা বিদেশিদের কাছে প্রভুত্ব চাই না, বন্ধুত্ব চাই। এই কথাটি প্রমাণ করার জন্যই তিস্তা পাড়ে আজকের এই সমাবেশ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাট তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা বন্যা ও ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করে বলতে চাই, বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, আছে-ভবিষ্যতেও থাকবে। কখনও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) নেতৃত্বে, কখনও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, কখনও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছে মানুষ। তার নজীর আজকের এই বিশাল গণজমায়েত।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বন্ধুদেরকে আমরা বলব, নিরপেক্ষ আচরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে তিস্তার এই ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি দিন।

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদস্য শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়া উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পাকার মাথায় অবস্থিত তিস্তা নদীর তীরবর্তীতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি উলিপুর শাখার আয়োজনে দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন, উলিপুর উপজেলা শাখা বিএনপির স্যে সাবেক সভাপতি হায়দার আলী মিঞা, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হাবিব নয়ন, যুবদল নেতা আপন আলমগীর প্রমুখ।

উল্লেখ, তিস্তা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৪১৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশে ১১৩ কিলোমিটার। বাংলাদেশের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং নীলফামারী জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রামে ৪০ কিলোমিটার তিস্তা নদী। কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট ২৭ কিলোমিটার। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ২২ কিলোমিটার। প্রতিবছর গড়ে ২০০ মিটার বা ৩০০ হতে ৪০০ ফুট করে নদী ভেঙে বসতবাড়ি, কৃষি জমি বিলীন হচ্ছে। তিস্তা নদীর স্থায়ীভাবে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫ কিলোমিটার ব্লক দিয়ে তীররক্ষা প্রকল্প এবং চলতি বছর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে ৬ কিলোমিটার পয়েন্টে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কালের আলো/এমডিএইচ