‘আ. লীগকে মানুষ ক্ষমা করলেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন না’
প্রকাশিতঃ 7:34 pm | February 17, 2025

ইবি প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘বিগত ১৬ বছরের নির্মম নির্যাতন, নিষ্পেষণের শিকার সকল মানুষ। সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে ইসলাম। শত শত নিরাপরাধ মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। আমরা সেই গুমের রাজ্যে আর ফিরে যেতে চাই না।বাংলার সকল মানুষ ক্ষমা করলেও আল্লাহ আওয়ামী লীগ কে ক্ষমা করবেন না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ‘জুলাই পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন ‘আজ স্বল্প মাত্রায় হলেও সমাজে যে বৈষম্য দূরীভূত হয়েছে তা জুলাই বিপ্লবের ফসল। দীর্ঘ ১৬ বছরে যে বৈষম্য অন্যায় অবিচার সংগঠিত হয়েছে, তার অবসান ঘটেছে এই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টা করে তাহলে তারা কী করতে পারে গত ৫ আগস্টে তা দেখিয়েছে। ছাত্ররা শেখ হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে বিফল করে একত্রিত থেকেছে। এবার ছাত্ররা বাংলাদেশের মানুষকে সুসংগঠিত করতে পারলে দেশ নতুন আলোর মুখ দেখবে।’
মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর দেশে অনেক অন্যায় জুলুম হয়েছে।
মানুষকে গুম করা হয়েছে। কেউ গুমের শিকার হলে পরিবারে কি ভয়াবহ প্রভাব পড়ে তা পরিবারই জানে। একজন মা ছেলে ফিরে আসবে না জেনেও প্রতিটা রাত নির্ঘুম কাটায়। উপদেষ্টারা আয়নাঘরের দৃশ্য প্রকাশ করেছে। আমরা সেই গুমের রাজ্যে আর কোনো দিন ফিরে যেতে চাই না।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। যার সংবিধান হবে আল কোরআন। কারণ আমরা দেখেছি, রাজপথে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, সেখানেই আবার তারা নামাজের সময় হলে নামাজে দাঁড়িয়ে গেছে। এগুলোই ছিল জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও স্পিরিট। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
সভায় খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল হক, ইসলামী বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল উদ্দীনসহ ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এসএকে