কল্যাণ তহবিলে টাকা দেয় ৫০০ কোম্পানি, উপদেষ্টা বললেন— এটা হতে পারে
প্রকাশিতঃ 7:28 pm | February 19, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
কল্যাণ তহবিলে টাকা দেয় ৫০০ কোম্পানি, উপদেষ্টা বললেন— এটা হতে পারে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে তালিকাভুক্ত মাত্র ৫০০ কোম্পানি। শুধু তারাই এ তহবিলে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা দেয়। বিষয়টি শুনে হতবাক শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মাত্র ৫০০ কোম্পানি, এটা তো বিশ্বাসযোগ্য না, হতেই পারে না।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তহবিলের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমি দেখলাম মাত্র ৫০০ কোম্পানি এনলিস্টেড (তালিকাভুক্ত)। এই ৫০০ কোম্পানি পয়সা দেয়। বাংলাদেশে ৫০০ কোম্পানি, এটা তো বিশ্বাসযোগ্য না, হতেই পারে না। এতোদিন অন্যরা কেন এনলিস্টেড হলো না, আমি জানি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশাল বিশাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে, যারা হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। তারা কেন নেই, তারা কেন তাদের প্রফিট থেকে কন্টিবিউশন করে না। এটা আমার কাছে একটু খটকা লাগল, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এদের কেউ এর আওতায় আনতে হবে। তাদের শ্রমিকদের ক্ষতি হয় বেশি, কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে মারা যায়, বিকলাঙ্গ হয়। তাদেরকে আমরা কম্পেন্সেশন (ক্ষতিপূরণ) দিতে পারি না, কারণ তারা এনলিস্টেড না।
তিনি আরও বলেন, আমি কেবিনেটকে লিখছি বড় কোম্পানি, শিপবিল্ডার্স যদি এনলিস্টেড না হয়, তাহলে অন্তত সরকারি কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিলে তাই হবে। আর শিপবিল্ডিংয়ে যারা কাজ করছে, তারা যদি না হয় তাহলে আমাদের তরফ থেকে তাদেরকে ফারদার টেন্ডারে (পরবর্তী দরপত্রে) অংশগ্রহণ করতে দেব না। এটা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের পক্ষ থেকে আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা চেক হস্তান্তর করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি করতে চাচ্ছি, যাতে অন্যান্য কোম্পানি এই কাজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করে। অল্প সংখ্যক কোম্পানি এটা দিচ্ছি। আমি মনে করি এটা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা এবং রাষ্ট্রের উচিৎ তার সুবিধা-অসুবিধা দেখা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিকরা নানা ধরনের অসুবিধার মধ্যে থাকেন। ন্যায্য মজুরিসহ নানা ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। সেই জায়গা থেকে এই তহবিল একটা বড় জায়গা, শ্রমিকদের কাজ করার জন্য। শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতি আবেদন থাকবে যেন এটার তদারকি বাড়ানো হয়। নিয়ম-নীতিমালার অধীনে অন্যান্য কোম্পানি থেকে যাতে আদায় করতে পারি।
এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কালের আলো/এসএকে