ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি উপদেষ্টার আহ্বান
প্রকাশিতঃ 7:40 pm | February 19, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
স্থানীয় সরকার এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যদি ছাত্র সংসদ থাকত, প্রকৃত নেতৃত্ব থাকত, তাহলে কুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে সে ধরনের ঘটনা ঘটতো না। আগামী দিনেও এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের ভূমিকা থাকবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এক রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করার কথা বলছি, সেই নতুন বাংলাদেশে পূর্বের ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কারা এর পেছনে জড়িত আছে, তাদেরকে দ্রুত আইনিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সময়ে যে প্রাকটিসগুলো ছিল, ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ওপরে নিপীড়ন, নির্যাতন, গেস্টরুম ছাত্র রাজনীতির যে নেতিবাচক বিষয়গুলো ছিল, সেগুলো আর কখনো যেন ফিরে না আসে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কারা এটা করেছে সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে যথাযথভাবে পরীক্ষা করার জন্য কারা অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহরা দিয়েছে, তাদের পরিচয় যা হোক, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে যা অবস্থা ছিল এখন দেখুন পার্থক্য বোঝা যাবে। ছিনতাই থেকে শুরু করে যত ধরনের প্যারামিটার আছে সবগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। তবে যেহেতু এটি ট্রানজিশনাল পিরিয়ড। গণঅভ্যুত্থানে পুলিশকে যেভাবে জনগণের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে মাঠে গিয়ে কাজ করাটা অনেক বেশি কঠিন। তাদের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। তারপরেও চেষ্টা করছি নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে এবং নতুন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে পুলিশকে জনবান্ধব করার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পরও আজকেও পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে পাঠদান, ক্যাম্পাসের গেইটে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালের আলো/এমডিএইচ