স্ত্রী-দুই কন্যাসহ সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

প্রকাশিতঃ 4:49 pm | February 20, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,কালের আলো:

১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ চারজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেনজীর আহমেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা, তার দুই মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই অর্থ উত্তোলনের পরই বিদেশে নিয়ে চলে যান। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে নগদে উত্তোলিত অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছায়াবৃত্ত করার জন্য স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চার মামলা করা হয়।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।

এরপর ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের এক সভায় অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অনুসন্ধানে বেনজীর ও তার পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব খুঁজে পেয়ে আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করে দুদক। তবে বেনজীরের বিরুদ্ধে এপ্রিলে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি দেশত্যাগ করেন। এরই মধ্যে ওই বছরের ২৮ মে তাদের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফা তলব করলেও তারা দুদকে আসেননি। আর ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। এ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টের মাঝামাঝি আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশের সাবেক প্রধান ও তার পরিবারের চার সদস্যের সম্পদ বিবরণী জমা দেন।

কালের আলো/এসএকে