একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিতঃ 6:19 pm | February 20, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

শেখ সাজ্জাদ আলী বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিন চার স্তরে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও আজ বিকেল পাঁচটায় এবং রাত আটটায় পুলিশ সদস্য এবং অফিসাররা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে থাকবেন। শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আমাদের ফোর্স এবং অফিসাররা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কোনো আশঙ্কা দেখি না। নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যাতে দাহ্য পদার্থ এবং বিস্ফোরক জাতীয় কিছু বহন করতে না পারে সেজন্য আমাদের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও শহীদ মিনারের আশেপাশে মোবাইল টিমের অংশ হিসেবে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করবে। এসব ব্যবস্থার পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাও সংযুক্ত আছে। আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা একটা প্রোগ্রাম করেছি।

এবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার র‌্যাবের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আমি যতটুকু জানি র‌্যাবের সদস্যরা থাকবে পাশাপাশি আমাদের পুলিশ সদস্যরা মিলে কাজ করবেন। এবার কোনো ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এবার কোনো ধরনের জঙ্গি আশঙ্কা নেই। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ইন্টারেস্ট ভিন্ন ক্ষেত্রে। তারা চাঁদা কালেকশন, টোল আদায় ওইদিকে তাদের ইন্টারেস্ট। এদিকে তাদের ইন্টারেস্ট নেই।

পুলিশের ভেতরে এখন অবস্থা কেমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটা দুইটা ঘটনা ছাড়া আপনারা বলতে পারবেন না। ল ইন অর্ডার খুব ভালো। আমরা সকলে চমৎকারভাবে কাজ করছি।

শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, সম্প্রতি যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বের হয়ে এসেছেন আমরা তাদের ট্রেস করছি। এবং তারা কোণ ঠাসায় আছে। তারা যে ফ্রিভাবে কোনো কিছু করতে পারছে এমনটি নয়।

এসময় শহীদ মিনারে ভিভিআইপি ব্যক্তিরা পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ঢাকাবাসীকে আসার আহ্বান জানান তিনি। এজন্য রাত ১২টা ৪০ থেকে ১২টা ৪৫ এই সময়ের পর শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার কাজে অংশ নিতে পারবেন তারা। এই সময়টা মেনে এলে নারী পুরুষ বাচ্চা বৃদ্ধদের কষ্ট কম হবে বলেও মনে করেন কমিশনার।

কালের আলো/এমডিএইচ