কাবাডিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সেনাবাহিনী, পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুতের আশা জিওসি’র

প্রকাশিতঃ 10:57 pm | February 20, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

গ্রামীণ নানা খেলা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই বিলুপ্তির পথের যেন সারথি হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডিও। ক্রীড়া, ঐতিহ্য আর শিকড়কে টিকিয়ে রাখতে উনিশ শতকের তুমুল জনপ্রিয় এই  খেলাটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রতি বছরই ঝাঁকজমকভাবে আয়োজন করছে কাবাডি প্রতিযোগিতার। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের এই প্রতিযোগিতায় ১১ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আর রানারআপ হয়েছে ১০ পদাতিক ডিভিশন।

এদিন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি মনে করেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা, খেলাধুলার মান উন্নয়ন এবং খেলোয়াড় সুলভ মনোভাবের বিকাশ ঘটবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জিওসি।

জানা যায়, হাডুডু নামটির পোশাকি নাম কাবাডি। ১৯৭২ সালে কাবাডিকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের অপেশাদার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। সময়ের বিবর্তনে, প্রযুক্তির উৎকর্ষে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটির মানোন্নয়ন ও আকর্ষণে বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দেশপ্রেমিক এই বাহিনীটি।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১০ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সেনা অঞ্চলের মোট ১৪টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ইউপি ল্যান্স কর্পোরাল মো. মনিরুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ও সৈনিক মো. রোহান মিয়া শ্রেষ্ঠ নবীন খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা; রামু সেনানিবাসের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে