গাজা থেকে ফেরত আসা মৃতদেহ শিরি বিবাসের নয়: ইসরায়েল
প্রকাশিতঃ 12:38 pm | February 21, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া সর্বকনিষ্ঠ দুই জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই দুই শিশু কেফির ও অ্যারিয়েল, তাদের মা শিরি বিবাস এবং ওদেদ লিফশিতজ নামের মোট চারজনের মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো চারটি মৃতদেহের মধ্যে শিশুদের মা শিরি বিবাস নেই, অর্থাৎ শিশুদের মা বলে যে নারীর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে সেটি আসলে শিরি বিবাসের লাশ নয়।
৩৩ বছর বয়সী শিরি বিবাস এবং তার দুই ছেলে আরিয়েল (৫) এবং কেফির(২) মারা গেছেন, এই খবর ইসরায়েলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিবাস পরিবারকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সকল মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে। কিন্তু দুই ছেলের মৃতদেহ সণাক্ত করা গেলেও তৃতীয় মৃতদেহটি তাদের মায়ের ছিল না বলে আইডিএফ জানিয়েছে। তারা বাকি জিম্মিদের সঙ্গে ওই নারীর মৃতদেহও ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
তবে হামাস এখনও ইসরায়েলের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আইডিএফ এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন জানা যায় মৃতদেহটি শিরি বিবাসের নয় এবং অন্য কোনো জিম্মির সঙ্গেও কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি অজ্ঞাত একটি মৃতদেহ।
তাতে আরো বলা হয়, ‘হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের দ্বারা চুক্তির নিয়ম লঙ্ঘন এটি। তারা চার মৃত জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তির অধীনে বাধ্য।
আমরা হামাসকে আমাদের সকল জিম্মিদের সঙ্গে শিরিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করছি।’
আইডিএফ জানিয়েছে, ‘গোয়েন্দা তথ্য এবং ফরেনসিক অনুসন্ধান অনুসারে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বন্দি অবস্থায় সন্ত্রাসীরা দুই শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তবে হামাস বলেছে, দুই ছেলে এবং তাদের মা ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছিল।’
শিরি, এরিয়েল এবং তাদের মা কেফির বিবাসকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় অপহরণ করা হয়েছিল। শিশুদের বাবা ইয়ার্ডেন বিবাসকে(৩৪) গত ১ ফেব্রুয়ারি হামাস মুক্তি দেয়।
ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো চতুর্থ মৃতদেহটি ছিল প্রবীণ শান্তি কর্মী ওদেদ লিফশিৎজের।
সূত্র: বিবিসি
কালের আলো/এসএকে